নারীদের জন্য যে ৫ স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি!

 নারীদের জন্য যে ৫ স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি!


সুস্থ থাকার জন্য প্রত্যেক মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত। জীবনের নানা পর্যায়ে স্বাস্থ্য ভালো থাকার জন্য রোগ সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে নেয়াটা তাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে নারীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা জরুরি।


 

আসুন জেনে নেই নারীদের জন্য যে ৫ স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি। 


রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল


অধিক কোলেস্টেরল কিংবা রক্তচাপ, মহিলাদের স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই ২০ বছরের বেশি বয়সের নারীদের অবশ্যই বছরে কমপক্ষে দুইবার রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল 

পরীক্ষা করা উচিৎ।


যৌনমিলনের দ্বারা বাহিত সংক্রমণ


যৌনমিলনের দ্বারা বাহিত রোগ যেকোনও নারীর হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর বরাতে জানা যায়, যারা নিয়মিত দাম্পত্য সম্পর্ক যাপন করেন তাদের প্রতি বছর গনোরিয়া ও চামেডিয়া পরীক্ষা করে দেখা উচিত।


ডায়াবেটিস


সেন্টার ফর ডায়াবেটিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন ৪৫ বছরের বেশী বয়সের মহিলাদের ডায়াবেটিসের পরীক্ষার সুপারিশ করেছে। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিসের পারিবারিক ইতিহাস আছে অথবা ওজন বেশী এমন নারীরা কমবয়সী হলেও নিয়মিত এ পরীক্ষাটি করা উচিত।


হাড়ের ক্ষয়


মেরুদণ্ড বা নিতম্বের হাড়ের ক্ষয় মাপা এবং অস্টিওপোরোসিস রোগ নির্ণয়ের জন্য ডুয়াল এনার্জি এক্স-রে অ্যাবজর্পটিওমেট্রি অথবা স্ট্যান্ডার্ড বোন ডেনসিটি পরীক্ষা করা হয়। হাড়ের ঘনত্ব বেড়ে গেলে হাড় ভাঙার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ৬০ বছর ও তার থেকে বেশী বয়সের নারীদের হাড়ের ঘনত্বের পরীক্ষা করা উচিৎ।


স্তন ক্যানসার


৪০ বছর ও তার থেকে বেশী বয়সী নারীদের স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে অবশ্যই ধারণা থাকা দরকার, কারণ এটা বয়স বাড়ার সাথে হতে পারে। মেমোগ্রাম করানোটা দরকার যেহেতু এতে স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা হবার সম্ভাবনা বোঝা যায়। মেমোগ্রাম হল স্তনের এক্সরে এবং স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক ধাপ বোঝার ক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্যকর। 


গবেষণা দেখিয়েছে, যে ৪০ বছরের বেশী বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে মেমোগ্রাম স্ক্রিনিং স্তনের ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুর হার ১০ থেকে ২০ শতাংশ কমায়।

 

ব্যায়াম


ইয়োগা বা অভ্যাস হল শরীর আর মন যুক্ত করে সুস্থ থাকার এক প্রাচীন পদ্ধতি। আসলে ইয়োগা বা যোগ তো শুধু ব্যায়াম নয়, যোগ কথার আসল অর্থ হল চেতনা।


আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না যোগ বা ইয়োগা আসলে কী? এটা কি শুধু শরীরকে বাঁকাজোকা করে বসে থাকা? নাকি এর মানে রয়েছে!


ইয়োগা করে কি সত্যি আমাদের কোনো উপকারে আসবে? যদি সত্যি কোনো উপকারে আসে তাহলে সে উপকারগুলো আসলে কী বা এর যুক্তিসঙ্গত কোনো ব্যাখ্যা কি আছে?

যোগ ব্যায়াম প্রশিক্ষক বাপ্পা শান্তুনু সঙ্গে কথা বলে ইয়োগার নানা দিক জানাচ্ছেন তৌহিদ মামুন।


আরও পড়ুন: যে ৫ কাজে চুল পড়া বন্ধ করবে


ইয়োগা কথার সাধারণ অর্থ ইউনিয়ন বা মিলন। এ মিলন কার সঙ্গে কার। আপনার সঙ্গে এ সম্পূর্ণ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের। মানুষের দেহ, মন ও এনার্জি বা শক্তি এ তিনটি জিনিসের সমন্বয়ে আমাদের শরীর চলে। এর কোনো একটি যদি ঠিকঠাক কাজ না করে তাহলে আমাদের শরীর ঠিকভাবে কাজ করবে না। আর ইয়োগা ঠিক এ কাজটাই করে থাকে এ তিনটির সমন্বয় করে। যদিও ইয়োগা নিয়মে মানুষকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে-


১. আন্না মায়াকোশা বা খাবারের মাধ্যমে যে শরীর তৈরি হয়েছে তাকে বুঝায়।


২. মানো মায়াকোশা বা যেটা আমাদের মনকে বোঝায়।


৩. প্রাণা মায়াকোশা বা যেটা শরীরের শক্তিকে বোঝায় বা এনার্জিগুলোকে বুঝায়। এ তিনটি ভাগ শারীরিক যেগুলো আমরা অনুভব করতে পারি। বাকি দুটি হল দৃশ্যমান নয় যেগুলো আমরা অনুভব করতে পারি না। যখন ওপরের তিনটি ব্যালেন্সভাবে কাজ করলে বাকি দুটিকে আমরা এক্সিপ্রিয়েন্স বা অনুভবন করতে পারি। বাকি দুটি হল-


৪. ভিগনাম মায়াকোশা বা বিজ্ঞান বা তার অর্থ বিশেষ জ্ঞান যা আমাদের পঞ্চইন্দ্রিয়র বাইরে।


৫. আনান্দা মায়াকোশা বা আনন্দ এটা নন-ফিজিক্যাল যেটা আমরা অনুভব করি মাত্র।


তাই ইয়োগার উদ্দেশ্য শরীরকে স্বাস্থ্যবান করা নয়। বরং তার সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুর মিলন ঘটিয়ে ফিজিক্যাল ও নন-ফিজিক্যাল তার মধ্যে ইউনিয়ন বা মিলন সৃষ্টি করা। যাতে সর্বক্ষেত্রে আনন্দের সঙ্গে নিজের সর্বোচ্চ পারফর্মেন্স দিতে পারেন।


আসন ও এর সতর্কতা


মানব জীবন হল আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি। আমাদের অস্তিত্ব হিসেবে আমরা পেয়েছি দেহ, মন ও আত্মা। আমাদের এই দেহ, মন ও আত্মা একীভূত করার নামই ইয়োগা বা যোগ।

নিয়মিত যোগচর্চার মাধ্যমে অসুস্থ শরীর রোগমুক্ত ও সুস্থ হয়ে ওঠে এবং সুস্থ শরীর আরও তেজ ও সতেজ হয়ে ওঠে। চঞ্চল ও দুশ্চিন্তাগ্রস্থ মন শান্ত হতে থাকে।


এ অবস্থায় বুদ্ধি দ্বারা আমরা শান্ত মনকে চালনা করতে পারি এবং আমাদের দেহও মনের সঙ্গে সমান তালে সাড়া দেয়। যোগানুশীলনের ধারাবাহিকতায় অশান্ত মন যখন সম্পূর্ণ চিন্তামুক্ত ও শান্ত হয়ে পড়ে তখন আমাদের ‘আত্মার’ উপলব্ধি হয়।


সতর্কতা


হৃদরোগী, উচ্চরক্তচাপ এবং কোমর যন্ত্রণায় ভুগতে থাকা ব্যক্তিরা এ আসন করবেন না। যারা কাছের জিনিস দেখতে চশমা ব্যবহার করেন তারা এ আসন করবেন না। সর্দি-কাশি হলেও এই আসন করা উচিত নয়।


Post a Comment

Previous Post Next Post